560 Views

নিজস্ব প্রতিবেদক: বুধবার(১৩ মে) বেলা ১১টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) গবেষক কমিটির কাছে কিটের নমুনা পৌঁছে দেয় বিজ্ঞানী ডা. বিজন কুমার শীল এবং ডা. মহিবুল্লাহ খন্দকার।

হস্তান্তর শেষে ডা. মহিবুল্লাহ খন্দকার বলেন, বিএসএমএমইউ কমিটি গতকাল আমাদের কাছে কিটের নমুনা চেয়েছিলেন। আমার আজকে প্রথম দফায় কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য ২০০ কিট দিয়েছি।আমরা কমিটিকে বলেছি ওনাদের যদি কোনো টেকনিক্যাল সমস্যা হয় আমরা ওনাদের সাহায্য করবো।

ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, কার্যকারিতা পরীক্ষায় কোনো ক্রমেই ৭ দিনের বেশি সময় লাগা উচিত না। আশা করি এ সময়ে মধ্যে আমরা একটি পজেটিভ ফলাফল পাবো এবং দেশ বাসীর জন্য এ কিট পর্যাপ্ত করে দিবো।

তিনি বলেন, পরীক্ষার ফলাফল পাবার পর অনুমোদন দিতে দুই দিনের বেশি সময় লাগার কথা নয়। অনুমোদন পেলে সরকার যদি কিট নিতে চায় আমারা দেবো এবং তাদের জন্য ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে দেবো।

এর আগে ডা. জাফরুল্লাহ জানান,  করোনা নির্ণয়ক এন্টিবডি- এন্টিজেন দুটি ভিন্ন হলেও দুটিতেই সফলতা পেয়েছেন তারা। তবে  বিএসএমএমইউ কমিটি এন্টিবডি টেস্ট এর কিট চাইলে তারা সেটি কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য জমা দেয়। পরবর্তিতে এন্টিজেন চাইলে সেটিও জন্য প্রস্তুত তারা।

তিনি বলেন, এটি একটি জাতীয় সমস্যা। আমাদের যত সক্ষমতা আছে সবকিছু নিয়েই একে মোকাবিলা করতে হবে। এই গুরুত্বটি  সবাইকে বুঝতে হবে। এরআগে বিএসএমএমইউ’র বিলম্ব দেখে গত সোমবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র তাদের উদ্ভাবিত কিট ব্যবহারের জন্য সরকারের কাছে সাময়িক সনদ চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করে।গত ৩০ এপ্রিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসএমএমইউকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিটের সক্ষমতা যাচাইয়ে পরীক্ষা করার জন্য চিঠি দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।এরপর ২ মে বিএসএমএমইউ’র কতৃপক্ষ কিটের সক্ষমতা পরীক্ষা করতে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করে।