বাতাসের গতি এখনও ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার: ঘূর্ণিঝড় আম্ফান TheNewStar24.com TheNewStar24.com প্রকাশিত: ৩:১৯ অপরাহ্ণ, মে ১৮, ২০২০ 654 Viewsমোঃ সোলায়মান শেখ,বিশেষ প্রতিনিধি-বাগেরহাটঃবঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হচ্ছে বছরের প্রথম শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আম্ফান,মাসের শূরুতেই এটি উপকূলে আগাত আনতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়াবিদরা। ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ধেয়ে আসছে, মঙ্গলবার মধ্যরাতে থেকে বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত আনতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। বাতাসের গতি এখনও ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটারই আছে। আবহাওয়াবিদ ড. (মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক) জানান, ঘূর্ণিঝড়টি তার অবস্থান থেকে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। পরে দিক পরিবর্তন করে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে খুলনা মোংলা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে ১৯ মে শেষরাত থেকে বুধবার বিকাল কিংবা সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। গত ১২ ঘণ্টায় প্রায় ১৩০ কিলোমিটার এগিয়ে এসেছে এই ঝড়। আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আমফান উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি সোমবার সকালে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে একহাজার ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকার সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। SHARES সারা বাংলা বিষয়: