করোনা আক্রান্ত দম্পতিকে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে

প্রকাশিত: ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ, জুন ২, ২০২০
606 Views

c উপজেলায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার কারণে এক দম্পতিকে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে দম্পতির পরিবার ও বিনোদনপুর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

করোনা শনাক্ত হওয়ায় গ্রামে তাদের থাকতে দেয়া হয়নি নিজ গ্রামে। আর গ্রামে কোন জায়গা না হওয়ায় পাশের ইউনিয়ন শ্যামপুরে চাচা শ্বশুড়ের পরিত্যক্ত পোল্ট্রি মুরগির খামারে তাদের জায়গা হয়।

ইমন ও সামিমা দম্পতি করোনাকালে ঢাকায় নিজের খাবার ও বাড়ি ভাড়া জোগাড় করতে না পেরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চাঁদশিকারী নিজ গ্রামে চলে আসেন। ইমনের নিজের মা না থাকায় তাদের বাড়িতে জায়গা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তার সৎ মা ও পরিবারের সদস্যরা। পরে বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হককে বিষয়টি জানালে তিনিও তাদের গ্রামে থাকতে নিষেধ করে।

তারা নিজ গ্রামে আশ্রয় না পেয়ে পাশের ইউনিয়ন শ্যামপুর বাবুপুরে চাচা শ্বশুরের পরিত্যক্ত পোল্ট্রি মুরগির খামারে তাদের জায়গা হয়। সেখানেও বাধার মুখে পড়তে হয় তাদের। ঘরের পরিবেশ ভাল হলেও খামারটির চারপাশের পরিবেশ অপরিস্কার।

ভুক্তভোগীরা বলেন, এসময় করোনা আক্রান্তদের পাশে না থেকে উল্টো বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। তাদের শাস্তিও দাবি করেন এই দম্পতি।

এদিকে স্থানীয়রা বলছেন, তাদের পরিবার একটি ঘরে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারতো, কিন্তু মুরগির খামারে রাখাটা একটি অমানবিক কাজ। তাদের পাশে দাঁড়ানোর দাবিও করেন তারা।

অপরদিকে দম্পতির পরিবার ও বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ ঘটনায় একে অপরকে দোষারোপ করেন।

আর শ্যামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বলেন, বিনোদপুর ইউপি চেয়ারম্যান যে কাজটি করেছেন সেটা ন্যাক্কারজনক কাজ, মোটেও ঠিক করেননি। আর শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম এই করোনা দম্পতি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তাদের যাবতীয় দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

জেলা সিভিল সার্জন ড. জাহিদ নজরুল চৌধুরী বলেন, করোনাকালীন সময়ে করোনা শনাক্ত হওয়া দম্পতিকে পরিত্যক্ত মুরগির খামারে রাখাটা একটি অমানবিক কাজ। এ কাজের জন্য সমাজকে দোষারোপ করেন। আর তারা সুস্থ হলে প্রশাসনের দায়িত্বে তাদেরকে পরিবারের কাছে পাঠানো হবে বলেন তিনি,

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় এখন পর্যন্ত ৫৪ করোনা রোগী শনাক্ত হলেও সুস্থ হয়েছেন ১৩ জন।
ডিবিসি নিউজ