তাড়াশে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জামাল মিয়ার হয়রানী ও মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ৫:২০ অপরাহ্ণ, জুন ৩, ২০২০
348 Views

তাড়াশ ( সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ হাসপাতালের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মর্কতা ডাঃ জামাল মিয়ার হয়রানী ও মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপ-সহকভরী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার মোছাঃ বিউটি পারভীন ।

বুধবার বিকালে তাড়াশ পাবলিক লাইব্রেরী হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোছাঃ বিউটি পারভীন ।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত জানুয়ারী ৫ তারিখে মহাপরিচালক ,স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ,মহাখালী কর্তৃক অর্ডার লেটার পেয়ে তাড়াশ হাসপাতালে ৮ জানুয়ারী তারিখে যোগদান পত্র উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মর্কতা ডাঃ জামাল মিয়ার কার্যালয়ে দিলে সে গ্রহন না করে বিভিন্ন অজুহাত দেখায়ে তালবাহানা করে। তার পর আবারও মহাপরিচালক ,স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ,মহাখালী কর্তৃক উক্ত আদেশটি ৯ তারিখে বাতিল হলে সে নিরুপায় হয়ে মহামান্য হাইকোর্টে রিট করে আবারও পূর্বের আদেশটি বহাল থেকে যায়। হাইকোর্টের জারিকৃত আদেশটি ৪ ফেব্র্রুয়ারী  তারিখে বহাল করে আমাকে যোগদান করতে বলেন।

১১ ফেব্র্রুয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মর্কতা ডাঃ জামাল মিয়ার কার্যালয়ে হাইকোর্টের আদেশটি দিয়ে পুর্বের ৮ জানুয়ারী তারিখের যোগদান বহাল রাখার জন্য আবেদন করে। কিন্তু মহামান্য হাই কোর্টকে অবমাননা করে ডাঃ জামাল মিয়া বলেন টাকার বিনিময়ে এ রকম অনেক আদেশ নেওয়া যায়।

পরে উপ-সহাকরী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার মোছাঃ বিউটি পারভীন জেলা সিভিল সার্জনের নিকট শরনাপন্ন হলে হাইকোর্টের আদেশকে মান্য করে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মর্কতা ডাঃ জামাল মিয়ার কার্যালয়ে ১৮ ফেব্র্রুয়ারী তারিখে যোগদান নিতে বলেন। সেই ক্ষোভে তিনি নিজেকে অপমান বোধ করায় নানা ভাবে অকথ্য গালাগালি করে চাকুরী খাওয়ার হুমকি দেয়। যোগদানের পর দিন থেকে আমাকে নানা মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করতে থাকে। একজন নারী হিসেবে কাজ করতে গিয়ে নানা ভাবে বাধার সম্মুখীন হই। ছেলে সন্তান নিয়ে চাকুরীর টাকা দিয়ে ডাল ভাতের ব্যবস্থা ছিল তাও বন্ধ করে দেয় এই কর্মকর্তা।

উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার মোছাঃ বিউটি পারভীন বলেন,স্যারের প্রতি আমার কোন রাগ ক্ষোভ ছিলনা কিন্তু গত ২ মে তারিখের এক আলোচনা সভায় আমার উপস্থিতিতে আমার নামে যে ভুল ,মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাকে যে অপমান করা হয়েছে তা বলার মতো নয়। অশ্লীল গালাগালি সহ নান অপবাদ দেওয়ায় ইহা আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এছাড়াও এই করোনা ভাইরাসের ক্রান্তি লগ্নে আমি আমার জীবনের ঝুকি নিয়ে যে ভাবে রোগী দেখছি তা তাড়াশবাসী জানেন। অথচ কোন প্রকার প্রেটেকশন আমার নাই। স্যারের কাছে একটা পিপিই চাইলে সে অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে বলে আপনার পিপিই হাইকোর্ট দিবে। এমতবস্থায় আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সহায়তা কামনা করছি।