316 Views

অনলাইন ডেক্স:

ব্রিটেনের প্রভাবশালী সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টের দাবি, শুধুমাত্র রাজধানী ঢাকাতেই প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত রয়েছে। যা বাংলাদেশের সরকারি ভাবে প্রকাশিত তথ্যের চেয়ে অনেক বেশি।

শুক্রবার (৫ জুন) আইসিডিডিআর,বির বরাত দিয়ে বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে এক প্রতিবেদনে এ দাবি করেছে লন্ডনের এই সাময়িকী। এতে বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারত ও পাকিস্তানের করোনায় আক্রান্তদের সংখ্যাও সরকারি হিসাবের চেয়ে বেশি বলা হয়েছে।

‘বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তানে দ্রুত বাড়ছে সংক্রমণ’ শিরোনামের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, আইসিডিডিআর,বির কর্মকর্তা জন ক্লেমেনসের অনুমান, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতেই করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ইতোমধ্যে সাড়ে সাত লাখ ছাড়িয়ে থাকতে পারে। তবে সরকারের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬০ হাজার ৩৯১ জন; যাদের প্রায় অর্ধেকই ঢাকার।

ইকোনোমিস্টের দাবি, কম পরীক্ষার অর্থই হচ্ছে- প্রকৃত চিত্র আরও বেশি খারাপ হতে পারে।

প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে জারিকৃত লকডাউনের বিধি-নিষেধের বেশিরভাগই গত সপ্তাহ থেকে তুলে নিতে শুরু করেছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং ভারত। ১৭০ কোটি মানুষকে মুক্ত করে দেয়ায় বিপর্যস্ত অর্থনীতির এই অঞ্চলের এক পঞ্চমাংশ স্বস্তিতে ফিরবে।

কিন্তু লকডাউন প্রত্যাহার করে নেয়ায় সংক্রমণ আবারও দ্রুতগতিতে বাড়তে পারে। তিন দেশে সরকারিভাবে প্রকাশিত সাড়ে ৩ লাখের বেশি আক্রান্ত এবং প্রায় ৯ হাজার মানুষের মৃত্যু নিয়ে পরিসংখ্যানকে অপেক্ষাকৃত পরিমিত দেখাচ্ছে। তবে এই তিন দেশে গণনার বাহিরে আরও অনেক মানুষ আক্রান্ত রয়েছে। ব্যপক আকারে পরীক্ষা করা হলে তা ধরা পড়বে।

এই অঞ্চল নিয়ে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে যে, এই অঞ্চলে করোনা সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছাবে আগামী জুলাইয়ের শেষের দিকে। শুধু তাই নয়, সেই সময়ে সরকারি পরিসংখ্যানেও আক্রান্ত ৫০ লাখে পৌঁছাতে পারে এবং মৃত্যু ছাড়াতে পারে দেড় লাখ।

বর্তমানে এ অঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্যা নির্ণয় ও আক্রান্তের হার বৃদ্ধি সেই ভবিষ্যদ্বাণীর দিকেই এগুচ্ছে।

পাকিস্তানে কর্মরত বিদেশি এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেছেন, পাকিস্তানে সরকারিভাবে করোনায় যে মৃত্যুর হার প্রকাশ করা হচ্ছে বাস্তবে তা দুই থেকে তিন গুণ বেশি।

অন্যদিকে ভারতে রাজধানী দিল্লিতে অন্তত ৬০০ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন; যাদের মধ্যে ৩২৯ জনই দেশটির শীর্ষ মেডিক্যাল গবেষণা প্রতিষ্ঠান অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসের। দেশটির সব অঞ্চলেই এখন দ্রুতগতিতে করোনা ছড়িয়ে পড়ছে।

সূত্র: দ্যা ইকোনোমিস্ট, জাগো নিউজ