পাটুরিয়ায় তীব্র যানজট, লঞ্চে মানুষের ঢল

প্রকাশিত: ২:২৩ অপরাহ্ণ, জুন ১০, ২০২০
324 Views

অনলাইন ডেক্স:পদ্মাসেতুতে ৩১তম স্প্যান বসার কাজ চলায় শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌরুটে সব ফেরি ও লঞ্চ বন্ধ রাখা হয়েছে। এ কারণে বুধবার (১০ জুন) সকাল ১০টার পর থেকে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ পড়েছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে। যানবাহনের চাপে দেখা দিয়েছে যানজট ও দূরপাল্লার যানবাহনের দীর্ঘ সারি।

এ সময় ঘাটে আসা যাত্রীরা বলেন, জীবন ও জীবিকার তাগিদে তারা করোনার ঝুঁকি নিয়েই লঞ্চে করে পার হচ্ছেন।

ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, সকাল ১০টার পর থেকে এ এলাকায় অতিরিক্ত যানবাহন আসতে থাকে। এতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের ছোট-বড় মোট ১৮টি ফেরি চলাচল করছে। তবে ঘাট এলাকায় অতিরিক্ত যানবাহন আসায় অ্যাম্বুলেস, পচনশীল কাচামালবাহী ট্রাক, দূরপাল্লার পরিবহনকে অগ্রাধিকার ভিত্তিকে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। এতে করে বেশি জমে যাচ্ছে পণ্যবাহী ট্রাক। দুপুর ১২টার দিকে পাটরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ৮শতাধিক যানবাহন পারের অপেক্ষায় রয়েছে।

এদিকে লঞ্চে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক আর ঝুঁকি নিয়ে গাদাগারি করে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে এ নৌরুটে ২২টি লঞ্চ চলাচল করছে। লঞ্চের ভিড় নিয়ন্ত্রণে নৌ-পুলিশসহ বিআইডব্লিউটিসির কর্তৃপক্ষের কাউকে দেখা যায়নি।

রফিক নামের ঢাকামুখী একজন লঞ্চযাত্রী জানান, শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌরুট বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া হয়ে পাটুরিয়া আসলাম, লঞ্চে পা রাখার জায়গা নাই এমন অবস্থা। এত গাদাগাদি করে যাওয়াটা নিজের ভেতরে ভয় করছে করোনা নিয়ে। এখন কি করা আল্লাহ ভরসা।

মাগুরা থেকে আসা মো. সফিকুল ইসলাম নামের আরেক যাত্রী জানান, তিন মাস ধরে কাজ বন্ধ। হাতে যা টাকা ছিল তা দিয়ে এতদিন চলেছি। এখন কাজে না গেলে না খেয়ে পরিবারের সবাইকে নিয়ে মরতে হবে। তাই করোনার মরায় ভয় উপেক্ষা করে কাজে যাচ্ছি।

কৃষ্ণ দাস কুমার নামের একযাত্রী জানান, কোথায় যাব, বাসে ৬০ শতাংশ ভাড়া বেশি নেয়ার কথা, কিন্তু আমার কাছ থেকে নিয়েছে ১০০ শতাংশ বেশি। লঞ্চের অবস্থা আরও খারাপ, মানুষ ঈদের মত পার হচ্ছে। ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা অনেক বেশি। এ বিষয়ে কোন কর্তৃপক্ষকেই দেখলাম না।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ কোন কর্তৃপক্ষকে বার বার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।

সূত্র: somoynews