মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার আড়পাড়াতে আর.আর.এফ এনজিও কিস্তি আদায়ের জন্য মানুষকে হুমকি দিচ্ছে। TheNewStar24.com TheNewStar24.com প্রকাশিত: ৪:২০ অপরাহ্ণ, জুন ১৩, ২০২০ 440 Viewsঅনলাইন ডেক্স : মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া তে এনজিওগুলোর কিস্তি আদায়ের চাপে মানুষের জীবন যাপন করা হুমকি স্বরূপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপজেলার সদর আড়পাড়াতে আর.আর.এফ নামে একটি এনজিও কিস্তি আদায়ের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। যেখানে করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষের ব্যবসা বাণিজ্য, ইনকাম, বন্ধ হয়ে গেছে। সরকার সীমিত আকারে সবকিছু খুললেও মানুষ এখনো আগের অবস্থাতে ফিরতে পারেনি।সরকার ব্যবসা-বাণিজ্য সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত সীমিত আকারে চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু তাতেও মানুষের জীবন যাপন এখনো আগের মতো হয়নি। এরই মধ্যে আবার এনজিওগুলো মানুষের পিছে লেগে জোর করে কিস্তি আদায় করছে। আর.আর.এফ এনজিও কর্মী পলাশ কুমার মালাকার, ১৩ ই জুন (শনিবার) এক সদস্য বাড়ি গিয়ে কিস্তির জন্য তাকে হুমকি দিতে থাকে। এবং কিস্তি না দিলে অন্য ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলে। অসহায় ঐ সদস্য জানায় তার স্বামী বিদেশ থাকে। গত ৪ মাস ধরে সেখানে সে লকডাউন এ আছে। ঘর থেকে বের হতে পারেনা কাজকাম ও বন্ধ এবং বেতন বন্ধ রয়েছে যার কারনে সে কিস্তি দিতে পারছে না। কিন্তু ওই এনজিও কর্মী তার কোন কথাই শুনতে চাচ্ছেনা। তাকে হুমকি দিয়ে বলেছে সে যেন অফিসে গিয়ে টাকা দিয়ে আসে। আর.আর.এফ এনজিওর আরো কয়েকজন ঋণগ্রহীতা সদস্য জানান যে তারা নিয়মিত বাড়ি বাড়ি এসে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে কিস্তির জন্য। তারা কোন সরকারি নিয়মনীতি মানছে না। সরকার সীমিত আকারে অফিস-আদালত চালানোর কথা বললেও, তারা তা করছে না। নিয়মিত মানুষের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন মানুষের সাথে মিশছেন। এতে অনেকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে রয়েছেন। এদিকে ঐ আর.আর.এফ এর এনজিওকর্মী পলাশ কুমার মালাকার এর ফোনে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে মাগুরা জেলা প্রশাসক মহোদয় এর কাছ থেকে জানা যায়, কিস্তি আদায় বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি আপাতত সকল এনজিওর কিস্তি আদায় বন্ধ। সূত্র:. ekusherkantho SHARES অপরাধ বিষয়: