মহামারীকালে শহর-গ্রামে ছুটেছেন ৬ কোটি মোবাইল গ্রাহক TheNewStar24.com TheNewStar24.com প্রকাশিত: ৫:৩৬ অপরাহ্ণ, জুন ১৬, ২০২০ 244 Viewsঅনলাইন ডেক্স : কোভিড-১৯ মহামারীকালে সারা দেশে সাড়ে ৬ কোটির বেশি মোবাইল গ্রাহক শহর থেকে গ্রামে এবং গ্রাম থেকে শহরে যাতায়াত করেছেন বলে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব জানিয়েছে। বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে মঙ্গলবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আসেন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ- অ্যামটবের নেতারা। সেখানেই সাংবাদিকরা জানতে চান মহামারীকালে গত তিন মাসে মোবাইল গ্রাহকদের শহর থেকে গ্রামে বা গ্রাম থেকে শহরে চলাচল সম্পর্কে। জবাবে অ্যামটব মহাসচিব এস এম ফরহাদ বলেন, “আমাদের হিসাবে ৪০ শতাংশ গ্রাহক এ ধরনের মুভমেন্ট করেছেন।” টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির হিসাবে গত মার্চ নাগাদ দেশের চারটি মোবাইল ফোন অপারেটরের মোট গ্রাহক সংখ্যা দেশের মোট জনসংখ্যার কাছাকাছি গিয়ে সাড়ে ১৬ কোটি ছাড়িয়েছে। এ হিসাবে মহামারীকালে ৬ কোটি ৪০ লাখের বেশি মোবাইল সিমের গ্রাহক শহর থেকে গ্রাম বা গ্রাম থেকে শহরে বিভিন্ন দূরত্বে যাতায়াত করেছেন। কোনো ব্যক্তি একাধিক মোবাইল সিম ব্যবহার করলে তার সবগুলোই এই হিসাবে এসেছে। ব্যক্তি হিসেবে কতজন এই সময়ে গ্রাম-শহরে চলাচল করেছেন তা এখান থেকে বোঝা যাবে না। দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে সরকার প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব অফিস-আদালত বন্ধ ঘোষণা করে। সেই সঙ্গে সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। এরপর ধাপে ধাপে সেই ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয় ৩০ মে পর্যন্ত। শেষ দিকে বিপণিবিতান ও দোকানপাট, মসজিদ এবং পোশাক কারখানার ক্ষেত্রে কিছু বিধি-নিষেধ তুলে দেওয়া হলেও আন্তঃজেলা বাস ও গণপরিবহনে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে। লকডাউনের ওই দুই মাসে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও বিকল্প পরিবহনে মানুষ ঢাকা ছাড়ে বা ঢাকায় প্রবেশ করেছে। এরমধ্যে পোশাক কারখানা খোলার ঘোষণায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পায়ে হেঁটে ঢাকা, গাজীপুরসহ কারখানা অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় পরিবার-পরিজন নিয়ে আসেন শ্রমিকরা। সমালোচনার মুখে সে সময় কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত দিলে ওই শ্রমিকরা আবার গ্রামে ফিরে। পরে কারখানা খুললে আবার গ্রাম থেকে শহরে আসেন লাখ লাখ শ্রমিক ও তাদের স্বজনরা। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে দুই মাসের বেশি সময় সারা দেশে লকডাউন জারি রাখার পর ৩১ মে থেকে বেশিরভাগ বিধিনিষেধ তুলে নেয় সরকার। এরপর মানুষের চলাচল আরও বেড়ে যায়। এর সঙ্গে প্রতিদিনই বাড়তে থাকে করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা। সেই সংখ্যা বাড়তে বাড়তে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ৩ হাজার ৮৬২ জনে দাঁড়িয়েছে। আর দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪ হাজার ৪৮১ জনে। এখন আবার ভাইরাসের বিস্তারে লাগাম টানতে এলাকা ধরে ধরে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার অনুযায়ী লাল, সবুজ ও হলুদ জোনে ভাগ করে প্রয়োজন অনুযায়ী বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরইমধ্যে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ফের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সূত্র: BD news SHARES সারা বাংলা বিষয়: