করোনা: দুই-তিন মাস পর আবার আক্রান্ত হতে পারেন সুস্থ হওয়া রোগী? TheNewStar24.com TheNewStar24.com প্রকাশিত: ১২:২১ অপরাহ্ণ, জুন ২২, ২০২০ Facebook 0 Twitter 0 LinkedIn WhatsApp 0Shares অনলাইন ডেক্স: মহামারি করোনা ভাইরাসকে পরাজিত করা ব্যক্তিদের শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি পুনরায় করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে সেই ভাবনায় পানি ঢেলে দিলেন চীনের গবেষকরা। করোনাজয়ীর শরীরে উৎপাদিত অ্যান্টিবডির মেয়াদ মাত্র তিন মাস থাকবে। এ সময়ের পরই আবার করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন করোনাজয়ীরা। ‘নেচার মেডিসিন’ জার্নালে সদ্য-প্রকাশিত গবেষণাপত্রে দাবি করা হচ্ছে যে, সার্স ও মার্সের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবডির মেয়াদ এক বছরের বেশি ছিল। এদিকে উপসর্গহীন মানুষদের ক্ষেত্রে রক্তে উপস্থিত অ্যান্টিবডি লক্ষণযুক্ত রোগীদের তুলনায় অনেক আগে উধাও হয়ে যাচ্ছে। চীনের ২৭ থেকে ৬৬ বছর বয়সী ৩৭ জন করোনাজয়ীর আইজিজি অ্যান্টিবডি পরিমাপ করে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির গবেষকদলটি। তারা আরো জানান, ওই ৩৭ জন করোনাজয়ীকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়ার পর আরো ৫৬ দিন পর্যবেক্ষণ করা হয়। এতে ৮১ শতাংশ উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তের অ্যান্টিবডির প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে গিয়েছে বলে দেখা গেছে। তুলনায় লক্ষণযুক্ত করোনা রোগীর অবস্থা ভাল। মাত্র ৬২ শতাংশের অ্যান্টিবডির প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়েছে। চীনা বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ, করোনা সংক্রমণ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার ১২ মাসের মধ্যেই ৭৫ শতাংশ আক্রান্তের শরীরে অ্যান্টিবডির মাত্রা ও মেয়াদ কমে যায়। ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. সিদ্ধার্থ জোয়ারদার জানান, এ নিরীক্ষা অনুযায়ী তিন মাস পর আবারো করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা করোনাজয়ীদের রয়েছে। কিন্তু লক্ষ্মণহীন রোগীর ক্ষেত্রে কেন অ্যান্টিবডি কম, তার কোনও সঠিক ব্যাখ্যা গবেষকেরা দেননি। অথচ উল্টোটাই হওয়ার কথা ছিল। উপসর্গহীনদের রক্তে অ্যান্টিবডির মাত্রা বেশি হওয়ারই কথা ছিল। ভাইরোলজিস্টরা আরো একটি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এ গবেষণা শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলে সীমাবদ্ধ। তবে অন্যান্য অঞ্চলের বিষয়গুলো বিজ্ঞানীদের মাথায় রাখা উচিত। সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস ও সংবাদ প্রতিদিন Post Views: ৮০ SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: