সন্তানের প্রতি পিতার দায়িত্ব ও কর্তব্য TheNewStar24.com TheNewStar24.com প্রকাশিত: ১০:৫৯ অপরাহ্ণ, জুন ২৪, ২০২০ Facebook 0 Twitter 0 LinkedIn WhatsApp 0Shares এক ব্যাক্তি ওমর রা. কে তার নিজের পুত্র সম্পর্কে অভিযোগ করেন। ওমর রা. বলেন, তোমার ছেলেকে নিয়ে আস। তার ছেলে উপস্থিত হলে, ওমর রা. তাকে তার পিতার অবাধ্য হওয়ার কারণে সতর্ক করেন। ছেলে বলে: ইয়া আমিরাল মু’মিনিন, সন্তানের প্রতি পিতার কোন দায়িত্ব নাই?! তিনি বলেন: হ্যাঁ। ওমর রা. বলেন: পরহেযগার মা নির্ধারণ করা, আদব ও কুরআন শিক্ষা দেয়া। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ওকুর রব্বির হামহুমা কামা রব্বায়ানি ছগিরা। অর্থ : হে আমার প্রভু, তাঁদের প্রতি রহম করুন যেভাবে শৈশবে তাঁরা আমাকে লালন পালন করেছে। (আল কুরআন) সুতরাং বলা যায় যে, পিতার প্রতি সন্তানের যেমন দায়িত্ব-কর্তব্য রয়েছে, অনুরূপ সন্তানের প্রতি পিতার। ১, পিতা তার পরিবারের একজন দায়িত্বশীল, তিনি তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে । (আল হাদিস) অর্থাৎ সন্তান লালন পালনে তাদের হক সমানভাবে আদায় করছে কি না? ২, আল্লাহ তায়ালা তোমাদের অর্থ ও সন্তান দ্বারা সমৃদ্ধ করেছেন। (আল কুরআন) এখানে আল্লাহ তায়ালা অর্থের সাথে সন্তানকেও যুক্ত করেছেন। এ থেকে বুঝা যায়, অর্থ কোন একক শান্তি দিতে পারে না। সৎ সন্তান থাকাও জরুরি।: ৩, সহিহ আকিদাহ শিক্ষা দেয়া। প্রত্যেকটা সন্তান স্বাভাবিক ফিতরাতের উপর জন্মগহণ করে। পরবর্তীতে তার পিতামাতা তাকে ইহুদি, খ্রিষ্টান বানায়। (আল হাদিস) ৪, আকিকা করা। জন্মের সপ্তম দিনে আকিকা করা। সপ্তম দিনে সম্ভব না হলে ১৪,২১,২৮ তম দিনে আদায় করা। এরপরও সম্ভব না হলে, জন্ম তারিখও ভুলে গেলে; যেই দিন জন্মগ্রহণ করে, সেই দিনের আগের দিন আকিকা করবে। অর্থাৎ শুক্রবার জন্মগ্রহণ করলে বৃহস্পতিবার আকিকা করবে। ৫, খিতান করা। এটা রাসুল সা এর সুন্নাত। অল্প বয়সেই এটা উত্তম। ৬, সুন্দর নাম রাখা। আখিরাতে আমাদের নাম ধরে ডাকা হবে। যদি আমাদের নাম হয়, ‘চুমকি’, এই নামের জন্য পিতাও দায়ী। ৭, সৎ ও অসৎ কাজের পার্থক্য বুঝিয়ে দিবে এবং আদেশ ও নিষেধ করবে। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, হে ইমানদারগণ, তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবারকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা কর। ৮, সাত বছর বয়সে নামাজের আদেশ দেয়া। দশম বছরে পদার্পণ করলে উত্তম মধ্যমে নামাজের আদেশ দেয়া। ৯, সন্তানকে সুন্দরভাবে লালন পালন করা, আদব শিক্ষা দেয়া, উত্তম চরিত্র শিক্ষা দেয়া, ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের তাগিদ দেয়া। তাই বলে এই নয় যে, তাকে মাদারাসায় পড়াতেই হবে, না হলে সবর্নাশ! কট্টরপন্থী না হয়ে। কমপক্ষে ইসলামের পাঁচটি রুকন সম্পর্কে জ্ঞান থাকলেই চলবে । সেটুকু দেয়ার চেষ্টা করুন। ১০, সুস্বাদু খাবার ও সুন্দর পোশাকের ব্যবস্থা করা। আরও কিছু যেমন; সন্তান ভালো রেজাল্ট করলে এটা কিনে দেই ওটা কিনে দেই, সন্তান পরীক্ষায় ফেল মারলে তার পাশে থাকি। অনেকেই ভাবেন অনার্স, মাস্টার্স শেষ করলেই ছেলে এখন কামাই করে খাওয়াবে। কথাটা এত সহজ না। সম্ভব হলে তাকে আরও দুটি বছর সুযোগ দেন। এসব কাজ যদি সঠিকভাবে করেন তবেই তো সন্তানের মুখ থেকে বের হবে- “ওকুর রব্বির হামহুমা কামা রব্বায়ানি ছগিরা।” অসংখ্য ছেলে-মেয়ে ‘বাবা দিবসে’ সোশাল মিডিয়াতে বাবার প্রতি গভীর ভালাবাসা বিভিন্নভাবে প্রকাশ করেছে। পিতা কী তার হক সঠিকভাবে আদায় করছে? এ ব্যাপারে পিতামাতা আরেকটু সজাগ হবে। এই কামনা করি। আরিফুল ইসলাম (বার্তা সম্পাদক) “দ্যা নিউ স্টার” Post Views: ১১৯ SHARES ধর্ম বিষয়: