তুলশীমালা এক্সপ্রেসে’ কেনা যাবে বিখ্যাত চাউল তুলশীমালা TheNewStar24.com TheNewStar24.com প্রকাশিত: ৯:৩১ অপরাহ্ণ, জুন ২৮, ২০২০ Facebook 0 Twitter 0 LinkedIn WhatsApp 0Shares শত বছর পূর্ব থেকেই শেরপুরে রাজত্ব করে আসছে তুলশীমালা চাউল। তুলশীমালা শেরপুরের চাষিদের কাছে অমূল্য রত্ন।একসময় ধারনা করা হয় উচ্চমানের কৃষকেরা এই চাউল উৎপাদন করে থাকে। এই চাল দেখতে যেমন ছোট ও মিহি, এর রয়েছে মনকাড়া সুগন্ধ। তুলশীমাল চাউলকে জামাই আদুরি চালও বলা হয়।বাড়িতে জামাই এলেই শ্বশুড় বাড়িতে অবধারিত রান্না হবে তুলশীমালার পোলাও, খিচুরি, পায়েস বা পিঠা।যারা বাহারী গ্রানে আশ পাশে ছড়াবে সুগন্ধ। একদা জমিদার অধ্যূষিত শেরপুর জেলার জমিদাররা এই চালের সুস্বাধু খাবার খেতে অব্যস্থ ছিলেন। জমিদারদের বাড়িতে ইংরেজরা আসলে তুলশীমালা চালের যত বাহারি খাবার পরিবেশন করা হতো। যাওয়ার সময় ইংরেজদের খুশি করতে কিছু তুলশীমালা চাল গাড়িতেও তুলে দেওয়া হতো। দূরের বিশেষ বা নিকটজন কাউকে তুলশীমালা চাল দেওয়ার এই রেওয়াজ শেরপুরে এখনও চালু আছে। বিশেষ কেউ আসলে এখনও ৩-১০ কেজি তুলশী মালা চাল দিয়ে খুশি করা হয়। জানা গেছে, প্রতিযোগীতার বাজারে হাইব্রীড বিভিন্ন ধানের উৎপাদন দিন দিন বাড়লেও কমেনি স্থানীয় জাতের তুলশিমালার চাহিদা। দেশ ও বিদেশে বাড়ছে এই তুলশিমালা চালের কদর। এই ধানের উৎপাদন পরিমান কম হলেও বছর জুড়ে দাম ও চাহিদা থাকে অটুট।প্রতি কেজি চাউল ৮৫-১১০ টাকা কেজি বিক্রি হয়ে থাকে। আধুনিক হাইব্রিডের যুগে অভিজাত কৃষক ছাড়াও এখন অনেক কৃষকই এই ধান উৎপাদন করেন। তবে তুলশীমালা ধানের জাত কবে কোথা থেকে আনা হয়েছে তা ৮০ বছরের কৃষকও বলতে পারেন না। সবাই বলেন, ‘বাপ দাদা থেকে আমরা পেয়েছি’। এখন অনলাইনে কিনতে পাওয়া যাবে এই বিখ্যাত তুলশীমালা চাউল। চালের মানে শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারি । আরিফুল ইসলাম (বার্তা সম্পাদক) “দ্যা নিউ স্টার” Post Views: ৪৪ SHARES সারা বাংলা বিষয়: