নওগাঁয় বিপদ সীমার উপড় দিয়ে সবনদীর পানি , বাঁধ ভেঙ্গে হাজারো মানুষ পানিবন্দি। TheNewStar24.com TheNewStar24.com প্রকাশিত: ৯:১২ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৬, ২০২০ 32 Views মো.রুবেল হোসেন নওগাঁ : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নওগাঁর নদী গুলোতে হু-হু করে বাড়ছে পানি। ইতিমধ্যেই জেলার মধ্যেদিয়ে বয়ে যাওয়া আত্রাই ও ছোট যমুনা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহীত হচ্ছে। জেলার মান্দা উপজেলার জোতবাজার পয়েন্টে আত্রাই নদীর পানি এখন বিপদসীমার ১৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, এবং সংবাদ লেখার সময়ও পানি বাড়া অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যেই মান্দা উপজেলার বিষ্ণপুর ইউপির চকরামপুর নামক স্থানে আজ দুপুরের পর নদীর বাঁধ ভেঙ্গে কয়েকটি ইউনিয়ন প্লাবীত হয়েছে। এছাড়াও পূর্বেই মান্দায় আত্রাই ও ফকিন্নি নদীর কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গার কারণে প্রায় দু’হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন। এছাড়াও জেলার মধ্যেদিয়ে বয়ে যাওয়া নদীগুলোর উভয় তীরের বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের অন্তত পক্ষে ৫০ টি পয়েন্ট ঝুঁকিপর্ণ হয়ে পড়েছে বলেও জানা গেছে। ইতোমধ্যেই নদীর মূলবাঁধ একটিসহ আরো সাতটি বেড়ি বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এলাকার প্রায় দুই সহস্রাধিক মানুষ। বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষ বন্যানিয়ন্ত্রণ মূল বাঁধে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। এসব এলাকার মানুষ গবাদিপশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। ভাঙ্গনকৃত বেড়ি বাঁধগুলো হলো, পার-নুরুল্লাবাদ, পারনু-রুল্লাবাদ মন্ডলপাড়া, জোঁকাহাট, চকরামপুর, কয়লাবাড়ি, বাইবোল্যা ও পাঁজরভাঙ্গা। বুধবার সকালে এসব বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যায় এবং দুপুরের পর একটি মূলবাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে গেছে ধান, পাট ও সবজির ক্ষেতসহ ভেসে গেছে অনেক পুকুরের মাছ। এর মধ্যে ২০১৭ সালের বন্যায় চকরামপুর ও কয়লাবাড়ি বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার পর আর মেরামত করা হয়নি। এতে করে নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব ভাঙ্গনস্থান দিয়ে পানি ঢুকে দুই গ্রামের তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হালিম বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানান তিনি। অপরদিকে নওগাঁ জেলা শহরের মধ্যেদিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট যমুনা নদীর রানীনগর উপজেলার নান্দাইবাড়ি-কৃষ্ণপুর ঝুঁকিপূর্ণ বেরিবাঁধটি ভেঙ্গে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে শতাধিক পুকুরের মাছ। পানিতে প্লাবিত হয়ে নষ্ট হওয়ার পথে আউশ ও আমন ধানের বীজতলা। এছাড়াও পানিতে প্লাবিত হয়েছে কিছু সবজির ক্ষেত। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাঁধটি ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করছে। রানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, এই বেরিবাঁধটির সংস্কার করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে একাধিকবার লিখিত ভাবে জানিয়েছি। কিন্তু তাদের অবহেলার কারণে প্রতিবছরই নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলেই বাঁধটি ভেঙ্গে প্লাবিত হচ্ছে দুই উপজেলার শতাধিক গ্রাম। আর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তবে ইতোমধ্যেই এবার ভেঙ্গে যাওয়া অংশটিকে মেরামত করে পানি প্রবেশ বন্ধ করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। SHARES দুর্ঘটনা বিষয়: