এক কোটি ১১ লাখ টাকা ব্যয়ে বাউফলে বিদ্যালয় ভবনের নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ TheNewStar24.com TheNewStar24.com প্রকাশিত: ৫:৫৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৭, ২০২০ 30 Viewsএম.নাজিম উদ্দিন,পটুয়াখালী: বাউফলের কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিডিউল অনুযায়ি কাজ না করে তাদের ইচ্ছেমত কাজ করছেন। ভবনের কলাম ঢালাই করতে স্টীলের সার্টারিংয়ের পরিবর্তে কাঠের সাটারিং ব্যবহার করা হচ্ছে। বেইজ ঢালাই’র পর গর্ত ভড়াট করা হয়েছে বালুর পরিবর্তে মাটি দিয়ে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের আওতায় ১ কোটি ১১ লাখ টাকা ব্যয়ে ভবনটির নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সোনালী এন্টার প্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চারতলা ভবনের এই নির্মাণ কাজ করছেন। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে এই বিদ্যালয় ভবনের নির্মাণ কাজের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়। ১২৬ ফুট লম্বা ও ৪৬ ফুট প্রসস্থ এই বিদ্যালয় ভবনে নির্মাণ কাজ ওই অর্থ বছরের শুরু এবং শেষ করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছেন চলতি বছর অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে কাজ শুরু করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, বিদ্যালয় ভবনের বেইজ ঢালাইসহ শর্ট কলাম ও কলাম নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে। বেইজ ঢালাইতে নি¤œমানের মরা সাদা পাথর, নি¤œমানের সিমেন্ট ও বালু ব্যবহার করা হয়েছে। বেইজ ঢালাইয়ের পর বালু দিয়ে ভড়াট করার কথা থাকলেও তা ভড়াট করা হয়েছে মাটি দিয়ে। শর্ট কলামের উপরে গ্রেড ভীম ও কলাম ঢালাইর জন্য স্টীলের সাটারিং ব্যবহার করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। কাঠের সাটারিং দিয়ে ঢালাইয়ের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ভবনের বেইজ থেকে উত্তোলনকৃত বিপুল পরিমান মাটি বাইরে বিক্রি করে দিয়েছেন। শনিবার দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখাগেছে-কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের নির্মাণ কাজে বেইজ থেকে শর্ট কলাম পর্যন্ত মাটি দিয়ে ভড়াট করা হয়েছে। কাঠ দিয়ে সাটারিং করা হচ্ছে। নির্মাণাধিন ভবনের পশ্চিম পাশে একটি কলামের পাশে বড় গর্তে পানি জমা হয়ে আছে। কলামের রডে মরিচা ধরেছে। ৩০টি কলামে কাঠের সার্টার ব্যবহার করা হয়েছে। নিয়মানুযায়ি স্টীলের সাটারিং ব্যবহার করা কথা। পরিদর্শনকালে সংশ্লিষ্ট দফতরের কোন কার্য সহকারী ও উপ সহকারী প্রকৌশলীকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী মোঃ বাবর হোসেন বলেন,‘ সিডিউল অনুযায়ি কাজ হচ্ছে। কোন অনিয়ম করা হচ্ছেনা। স্টীলের সাটারিংয়ের পরিবর্তে কাঠের সাটারিং ব্যবহার এ বিষয় নির্বাহী প্রকৌশলী পটুয়াখালী (শিক্ষা) মো. হাদিউজ্জামান খান বলেন-প্রথম যখন টালাই কাজ হয় তখন আমি উপস্থিত ছিলাম এবং সঠিকভাবেই টালাইয় হয়েছে। টালাইয়ের দ্বিতীয় পর্যায় কোন ক্রটি ধরা পড়লে সরেজমিনে গিয়ে সংশোধন করে দেয়া হবে। SHARES অপরাধ বিষয়: